আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে ৯ উপজেলায় নৌকা নিয়ে অনৈক্য

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-১৮ ১৯:১৬:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে অনৈক্য দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগে। সিলেটের ৯ উপজেলায় নৌকার কান্ডারিদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাঠে নেমেছেন বিদ্রোহীরা। এতে গেলোবারের মতো এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেটে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গত উপজেলা নির্বাচনেও অভ্যন্তরিণ কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে ১২টি উপজেলার মধ্যে ৮টিতেই ভরাডুবি ঘটেছিল আওয়ামী লীগের।


সিলেটের যেসব উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন সেগুলো হলো- সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ। 

সিলেট সদর উপজেলায় এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন টানা দুইবারের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। এবার তার সাথে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক ও এডভোকেট নূরে আলম সিরাজী। গত নির্বাচনের মতো সুজাত আলী রফিক এবারও আশফাক আহমদকে ছাড় দিলেও মাঠ ছাড়ছেন না সিরাজী। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আশফাকের সাথে সিরাজীও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। 

কানাইঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সিলেট মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি আবদুল মোমিন চৌধুরীর সাথে প্রার্থী হয়েছেন বিদ্রোহী আরও দুইজন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা খয়ের চৌধুরী।

পাথররাজ্য হিসেবে পরিচিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা আবদুল বাছির, সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আহমদ, তার স্ত্রী জরিনা বেগম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক, হাফিজ মাসুম। 

গোয়াইনঘাটে মনোনয়ন পেয়েছেন আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল। কিন্তু হেলালকে মাঠ ফাঁকা করে দিচ্ছেন না প্রবাসী দুই নেতা। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গোলাপ মিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ। জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। তার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কামাল আহমদ। 

বিয়ানীবাজারে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বিদ্রোহী আরও তিন নেতা। বিদ্রোহীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা শামীম আহমদ। 

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাহিদ। তার সাথে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ময়নুল ইসলাম। 

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি, সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জকন। এ উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলাম। 

গোলাপগঞ্জে দলীয় প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদের সাথে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াহাব জোয়ারদার।

এছাড়া আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে জকিগঞ্জে উপজেলা সভাপতি লোকমান উদ্দীন চৌধুরী, বালাগঞ্জে উপজেলা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর ও বিশ^নাথে জেলা শাখার উপদেষ্টা এস এম নুনু মিয়া।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ শাদিআচৌ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন