আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফেঞ্চুগঞ্জে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র বেদখল, অ্যাকশনে প্রশাসন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-০৯ ১১:৪৭:২৮

ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের সরকার আশ্রয়কেন্দ্র দখল করে স্থায়ী বসতি ও নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠছিল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই আশ্রয়কেন্দ্র দখল করে আছে বিভিন্ন থানা এলাকার প্রায় ৯০ টি পরিবার! কেউ কেউ ৪০বছর থেকে এখানে বসবাস করছেন। গড়েছেন নতুন ঘর বাড়ি।

কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, একেকটি কক্ষে কাপড় ও বাশের বেড়ার আলগা দিয়ে একাধিক কক্ষ করে ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে আছে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। সংকীর্ণ পরিসরে নোংরা পরিবেশে বসবাস করছে শিশুরা।

এ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ বছর থেকে বাস করছেন কিন বেগম। উনার দখল অংশেও আড়াল আবডাল করা নানা রকমের সাজানো কক্ষ। জানা যায়, এখানে বিভিন্ন থানা এলাকার কম বয়সী মেয়েরা আসে। খবরের সত্যতাও পাওয়া গেল। উনার কক্ষের ১৬ বা ১৬ বছরের একটা মেয়ে বলতে পারলো না কিন বেগমের সাথে তার কি সম্পর্ক! খোজ নিয়ে জানা যায় কিনা বেগমের ১ ছেলে বিজিবি তে কর্মরত আরেক ছেলে চাকরিজীবি।

তাহলে তিনি এ কেন্দ্রে কেন? এ উত্তর দিতে পারেন নি তিনি। উল্টো প্রতিবেদককে খুশি করার চেষ্টা করলেন। এরকম দৃশ্য এখানে প্রায় ঘরেই। শুক্রবার দুপুরে এরকম খবরে তাৎক্ষণিক আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার মোঃ বদরুজ্জামান। পালটে যায় আশ্রয় কেন্দ্রের দৃশ্য! অবৈধ কারবারিরা সটকে পড়ে। কিন্তু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত পান তারা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বুরহান উদ্দিন সিন্ধু সহ কয়েকজন ইউপি সদস্য।

ইউপি সদস্য স্বীকার করলেন এখানে বসবাসকারী কিছু অংশ স্থানীয় কিন্তু এদের বাড়িঘর আছে। বাকিরা অন্যান্য এলাকায় আত্মীয় সুত্রে বা কোন অজ্ঞাত কারনে বসবাস করছে। স্থানীয় হলি ফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্ডেনের সভাপতি আবুল কালাম নিলু জানান এখানের কেউই দুর্যোগ আক্রান্ত নয়।

পরিদর্শন শেষে অবৈধ বসবাসরতদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু হঠাৎ করে এত মানুষ কোথাও কি ভাবে যাবে এই বিবেচনায় স্থানীয় মুরব্বিরানদের অনুরোধে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেন ইউএনও।

ইউপি সদস্য বুরহার উদ্দিন সিন্দু জানানা,নির্ধারিত সময়ে আশ্রয় কেন্দ্র খালি করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক জানান, অবৈধ বসবাস ছেড়ে দিতে হবে এখানে কেউ আসলেই ভূমিহীন থাকলে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাদের কে অন্যত্র ভূমির ব্যবস্থা করা হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এফইউ/এমকে-এম

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন