আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

লোভের জিহ্বা কেটে দিতে চাই

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-১৮ ১৩:১৬:২৩

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের লোভের জিহ্বা কেটে দিতে চাই। আমরা এ কাজটি শুরু করার প্রক্রিয়া করেছি। গতকাল দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯ নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় দুদক কমিশনার এ.এফ.এম আমিনুল ইসলাম, ড. মোজ্জাম্মেল হক খান, সচিব দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক সরোয়ার মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় সারা দেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্নীতিবিরোধী ক্লাব গঠনের সুপারিশ তুলে ধরেন। কৌশলপত্র নিয়ে দুদক এই প্রথম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করল। এরপর অন্যান্য শ্রেণী-পেশার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদককে ভয় পায় না সমাজে এমন লোক কমই আছে। এটা আমরা করতে পেরেছি। ২০১৮ সালে ৬৩ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। যা আগের বছরে ছিল ৬৮ শতাংশ। এটাকে আমরা পজিটিভ হিসেবে দেখছি। সারা দেশে দুর্নীতি কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি করে কারও পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ উপহার দিতে।

দ্রুত বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধরুন আমরা একটি মামলা দিলাম। ২০ বছর ধরে চলল। সেখানে আমাদের করার কি আছে। তবে দ্রুত সাক্ষী হাজির ও অন্যান্য বিষয়ে আমরা ভূমিকা রাখি। সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হলে স্পেশাল কোর্ট প্রয়োজন। তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে হচ্ছে রাজনীতি। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া সম্ভব নয়। আশার কথা হচ্ছে, এবার নির্বাচনের পূর্বে সব রাজনৈতিক দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এতে সচেতনতা বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে এটা এমন নয় যে একটা কল বসালাম সঙ্গে সঙ্গে পানি পাব। আমেরিকান স্টাইলে জাম্প করে পরিবর্তন আসবে এমনটা আশা করা ঠিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, মানুষ দুদকের ওপর আস্থা রাখছে। এটা পজিটিভ। তবে কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। যে মাত্রায় দুর্নীতি কমার কথা সে মাত্রায় কমেনি। তিনি বলেন, সব দুর্নীতি আমাদের ম্যান্ডেট নয়। সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুদকের মূলত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি দেখার কথা। তবে আমরা সরকারকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ দিতে পারি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একটি ইথিক্যাল কোড অব কন্ট্রাক্ট তৈরি করার চেষ্টা করছি। যেটা সরকারের হাতে তুলে দেব। যা কান্ট্রিওয়াইড বাস্তবায়ন হবে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন