আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফিরে দেখা : পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১ বছর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-০২ ২১:২২:৫১

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি(অব.)
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব  দিকে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এক অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল। প্রায় ১৫৬ বছর আগে, ১৮৬০ সালে, ব্রিটিশ-ভারতের সরকার তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার পূর্ব অংশের পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা একটি প্রশাসনিক ইউনিট তথা একটি নতুন জেলার সৃষ্টি করে এবং  নাম দেওয়া হয় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে দেশ যখন দ্রুত পুনর্গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর একটি ক্ষুদ্র অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। উত্থান হয় ‘শান্তিবাহিনী’ নামক এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের। ১৯৭৬ সাল থেকে শুরু সেই রক্তাক্ত পথ থেকে শান্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উত্তরণে বাংলাদেশের সব সরকারই সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। অবশেষে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে রক্তাক্ত অধ্যায়ের সফল অবসান ঘটিয়ে সূচিত হয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন।

      শান্তি চুক্তি ও বাস্তবায়নঃ ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পক্ষে সন্তু লারমা। এখানে উল্লেখ্য, কোন প্রকার তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই এবং কোন বিদেশি শক্তিকে যুক্ত না করেই এ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছিল যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে তৎকালীন সশস্ত্র গ্রুপ শান্তি বাহিনীর দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সংগ্রামের। শান্তি চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ভারত থেকে প্রত্যাগত ১২,২২৩ টি পরিবারের মোট ৬৪,৬১২ জন শরণার্থীকে পুনর্বাসন করেছে। চুক্তির ৭২ টি ধারার মধ্যে ৪৮ টি সম্পুরণরূপে এবং বাকী ধারাগুলির ১৫ টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন সহ কিছু ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ বিষয়ের মোটামুটি সব বিভাগ/ বিষয় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বিভাগে লোকবল নিয়োগে চুক্তির শর্তানুযায়ী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সদস্যদের প্রাধান্য দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে তাদের বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত একটি ব্রিগেড এবং প্রায় অনধিক আড়াইশ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প গুটিয়ে ফেলা হয়েছে।

     ভূমি ব্যবস্থাপনাঃ  শান্তি চুক্তির সবচেয়ে জটিল  বিষয়টি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনা। এর জটিলতার প্রধান কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জরিপ না হয়া। একাধিকবার পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জরিপের উদ্যোগ নিলেও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর বিরোধিতা, অপহরণ ও সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিশন কাজ করছে। বিষয়টির ব্যাপকতা এবং জটিলতার কারণেই বাস্তবায়নে একটু বেশি সময় লাগছে সমাধান করতে। এটা ঠিক যে, শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মূল লক্ষ্য-‘ পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পাহাড়ি সংগঠন জেএসএসের একটি অংশ ছাড়াও ইউ পি ডি এফ নামক একটি দল পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা অব্যাহত সহ বাধার সৃষ্টি করে আসছে। শান্তি চুক্তি বিষয়ে দেশের উচ্চ আদালতে একটি মামলা হাইকোর্টের রায়সহ বিচারাধীন রয়েছে। সরকারকে এসব বিষয়ে আরও দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত এবং সন্ত্রাসবাদঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের অভিন্ন সিমান্তের প্রায় ২৬২ কিমি অরক্ষিত রয়েছে। ফলে, সে সব অরক্ষিত দুর্গম সীমান্ত দিয়ে ঐ সব দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায়শই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এতে করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভূল বোঝাবুঝি এবং ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। উদ্বেগের বিষয় হল সম্প্রতি সমতলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেনাবেচা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা সম্পর্কিত তথ্যাদি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম থেকে জানা গেছে। এসব প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃমূল্যায়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির সুম্মখীন করেছে।

শান্তি চুক্তির সাফল্যঃ শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ে উন্নয়ন প্রবল্ভাবে গতি পেয়েছে। সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করে ইতিমধ্যে পাহাড়ের সব উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪৮ কিমি রাস্তা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতা- পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য অঞ্চলে নির্মাণ করেছে প্রায় ১৫৩৫ কিমি রাস্তা, অসংখ্য ব্রিজ ও কাল্ভার্ট। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী, আধাসরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, কলকারখানাসহ সম্পন্ন হয়েছে অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ১৯৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মাত্র ছয়টি উচ্চবিদ্যালয়/কলেজ ছিল যার বর্তমান সংখ্যা ৪৭৯ টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন প্রায় প্রতিটি পাড়ায়। এ ছাড়াও ৫টি স্টেডিয়াম, ২৫টি হাসপাতাল এবং বর্তমানে ১৩৮২টি বিভিন্ন কটেজ ইন্ড্রাস্ট্রি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার হার ১৯৭০ সালে মাত্র ২% শতাংশ ছিল যা বেড়ে এখন ৪৪.৬% হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশবান্ধব শিল্পকারখানা এবং পর্যটন সহায়ক শিল্প গড়ে তোলার সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নীলগিরি ও সাজেকের মতো উন্নত পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে ওঠায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আরও অনেক আকর্ষণীয় ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৫টি নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট রয়েছে। সেগুলো সঠিকভাবে বিকাশ করতে পারলে প্রতিবছর ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে চাঁদাবাজি/সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকাংশে কমে যাবে বলে সহজেই অনুমেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের অবস্থানঃ প্রথমেই একটি কথা বলা প্রয়োজন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠী কারও তাড়া খেয়ে বা কারও দয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যায়নি। রাষ্ট্রের প্রয়োজন মেটাতেই বাঙালি কিছু পরিবারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রাচীনকাল থেকে সেখানে বাঙালিদের যাতায়াত ও বসবাস ছিল। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হলে সেখানে উন্নয়ন কাজ সমাধা করার জন্য বাঙালি প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। ফলে নিকটবর্তী স্থানে তাদের বসতি গড়তে হয়। কোনো পাহাড়ি শ্রমিক উন্নয়নের কাজে সহায়তা করতে চাইলেও শান্তি বাহিনীর হুমকির মুখে তা পারত না। শান্তি বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালি হত্যা, নির্যাতন পক্রিয়া রোধ করতেই গুচ্ছগ্রাম সৃষ্টি করে বাঙালি ও পাহাড়িদের নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা হয়। এতে বাঙালিরা নিরাপত্তা পেলেও সরকার প্রদত্ত বসতভিটা ও চাষের জমি হারাতে হয়। জমিতে চাষাবাদ করতে গেলেই পাহাড়ি- বাঙালি দাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের অবস্থানঃ পাহাড়িদের মতে, পাহাড়ের সব জমিই তাদের। বাঙালিদের ভূমিহীন করার কৌশল হিসেবে তাদের জমির খাজনা অনেক পাহাড়ি হেডম্যান গ্রহণ করে না, ডিসি অফিসে দিতে হয়।  পাহাড়িরা সমতলে এসে বসবাস করার সুযোগ পেলেও সমতলে বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি ও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে জমি ক্রয় করতে পারে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন শিল্প উদ্যোক্তার সৎ উদ্দেশ্য থাকার পরেও তাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো প্রকার শিল্পায়নের প্রসার ঘটাতে ব্যর্থ  হচ্ছেন, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। পাহাড়ে ব্যবসা করতে গেলে বাঙালিদের কর দিতে হয়, উপজাতিদের দিতে হয় না। উপজাতিদের ব্যাংকের সুদ ৫%, বাঙালিদের কমবেশি ১৪%।

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে করণীয় ও উন্নয়নঃ প্রকৃতপক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন কোনো একক পক্ষের দ্বারা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারসহ ক্ষুদ্র ও বৃহৎ জাতিসত্তার সম্মিলিত ইচ্ছা ও চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধান করনীয় হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাতে পাহাড়ি বাঙালি সকলে নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করতে পারে। সকল সন্ত্রাসী দলের চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং সম্প্রীতি বিনষ্ট থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিরাপদ রাখা। ভূমি সমস্যার আশু সমাধান কল্পে জরুরী ভিত্তিতে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং বাঙালি জনগোষ্ঠীর বাস্তবতা মেনে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে একত্রে বসবাস করা। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, স্থানীয় রাজনীতির সাথে সাথে পাহাড়ে বসবাসরত অধিবাসীদের দেশের বিদ্যমান মূল রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করতে পারলে অনৈক্য অনেকাংশে কমে আসবে। স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সমূহকে নির্বাচন কমিশনে নথিভূক্ত/ রেজিস্ট্রিকৃত করে তাদের কার্যকলাপ সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সর্বোপরি, বাস্তবতার নিরিখে পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে  ভোটার লিস্ট তৈরী করতঃ আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্ন করা। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন পার্বত্য জেলায় ‘ এক্সক্লোসিভ ডেভেলাপমেন্ট জোন’ সৃষ্টি করে বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদারদের সমন্বিত করে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। “শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন”- এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অপার সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পকে সরকার এবং অত্র অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালি সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।  পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান নিরাপত্তার আলোকে ২১ বছর পূর্বে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তিকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করার লক্ষে বেসামরিক প্রশাসন ও আধা সামরিক বাহিনীর শক্তি ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করে অগ্রণী ভূমিকা পালন জরুরী। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, সেখানে বসবাসরত সব পাহাড়ি ও বাঙালি-ই  এদেশের গর্বিত নাগরিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অবদান অপরিসীম ও প্রশংসার দাবী রাখে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা নিরাপত্তা বাহিনী নিজ দেশেরই একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে শান্তি নিশ্চিত করা। পরিশেষে, পার্বত্য এলাকার শান্তি পরিবেশ আরও সুসংহত হবে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
লেখকঃ সাবেক জিওসি, চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও সাবেক রাষ্ট্রদূত।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন